দশমিনা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দশমিনায় করোনা ভাইরাস সংক্রমন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে কঠোর অবস্থান নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌস দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। উপজেলা ব্যাপি সচতনতার লক্ষ্যে, লিফলেট বিতরন, খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌছে বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ সহ উপজেলার প্রতিটি এলাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা করোনা ভাইরাস সংক্রমনকে পুঁজি করে পিয়াজ, আলু, রসুন, তেল, চাল, ডাল, হ্যান্ড স্যানিটারাই সহ বিভিন্ন নিত্যপন্য দ্রব্য অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় করায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ফেরদৌস। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত তিনি ১৩ ব্যবসায়ীকে নগদ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। হোমকোয়ারেন্টাইনের নিয়ম না মানায় এক জর্ডান ফেরত ব্যাক্তিতকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা সহ বিদেশ ফেরত ২৪জনকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন সকলকে নিয়ম মেনে চলার জন্য কঠোর হুশিয়ারী প্রদান করেন।
উপজেলার সব হোটেল রেস্তারায় সকলকে হ্যান্ড গ্লোভস , মাক্স ব্যবহার বাধ্যতা মূলক করেন, শহরের চায়ের দোকান গুলোতে টিভি বন্ধ করেন এবং দোকানে বেশী মানুষ একত্রিত হয়ে আড্ডার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। প্রতিদিন প্রশাসনের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী, সাংবাদিকদের নিয়ে করোনা ভাইরাস সচেতনতা মূলক জরুরী সভা করে যাচ্ছেন। করোনা ভাইরাস এর মত কঠিন সংক্রমন থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতা মূলক কর্মকান্ড এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদক্ষেপ কে সাধুবাদ জানিয়েছে দশমিনা বাসী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌস জানান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আমাদের অভিজান অব্যাহত থাকবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা হলে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং উপজেলার প্রতিটি এলাকায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির মাধ্যমে বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত আমাদের টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিজান অব্যাহত থাকবে। পরিশেষে বলেন আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে সকলকে রাষ্ট্রীয় নির্দেশ মেনে চলতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সকলে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করতে হবে।
Discussion about this post