প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী) ঃ
দশমিনা উপজেলায় আজ শুক্রবার স্থানীয় সংসদ সদস্যর উপস্থিতিতে দুই গ্রুপে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, “চাল আত্মসাতের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা এমপি’র” শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা) আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা উপজেলার ডাক বাংলোয় স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ”লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মিয়া, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ ইকবাল মাহামুদ লিটন এবং জেলা পরিষদের সদস্য জাকির হোসেন ভু্েটা। সভায় এমপি এস,এম শাহজাদা স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের জানান, আমার কোন ক্যাডার বাহিনী নাই। কাউকে তুলে আনা হয়নি। ভুক্তভোগীরা বুধবার রাতে আমার কাছে গিয়েছিল, আমি তাদেরকে বলেছি, আপনারা ক্ষমা করলেও করতে পারেন। আপনাদের ইচ্ছা। আমি তাদেরকে কোন ভয় দেখাইনি। চাল আত্মসাতের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ডিলার আঃ হাই সিকদারের ডিলারশীপ বাতিল ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাই। স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের সাথে সাংসদ এস,এম শাহজাদা’র সভা চলাকালিন সময়ে এমপি সমর্থিত এ্যাডভোকেট নাঈম বশির তার দলবল নিয়ে মতবিনিময় সভায় ঢোকার চেষ্টা করলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইকবাল মাহামুদ লিটনের সমর্থকরা বাধাঁ দেয়। বাধাঁ দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায় সংঘর্ষের রুপ নেয়। থেমে থেমে চলতে থাকে সংঘর্ষের ঘটনা। খবর পেয়ে দশমিনা থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে পুলিশ পাহারায় সাংসদ এস এম শাহজাদা উপজেলা পরিষদে পৌছে। উপজেলা পরিষদের সামনেও কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত ৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় দশমিনা উপজেলা সদরে থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে। দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জালাল উদ্দিন জানান, পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
Discussion about this post