প্রতিনিধি দশমিনাঃ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আলিপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বাদশা ফয়সালের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা ৫৮ টন ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। ৬১৫ জন সুফলভোগীর তিনমাসের চাল আত্মসাতের ঘটনা প্রথম দফায় প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সাল আহম্মেদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। গত ২১ জুন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ হেমায়েত উদ্দিন এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। যা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে জেলা প্রশাসক কর্যালয় থেকে প্রেরণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ করেন ২০১৯ সালে সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার ও ইউপি সদস্যদের অবহিত না করে জুলাই মাসের দিকে পাঁচ মাসের চাল বিতরণ করা হয়। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে আরও চার মাসের চাল বিতরণ করা হয়। চেয়ারম্যান ১২ মাসের প্রাপ্ততার বদলে উপকারভোগীদের মাত্র ৯ মাসের চাল বিতরণ করা হয়। বাকি তিন মাসের ৬১৫ জনের ৫৮ টন চাল ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বাদশা ফয়সালের কাছে রেখে পরে তা নিজেই ভোগ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। আত্মসাৎ করা ৫৮ টন চালের আনুমানিক বাজার মূল্য ১৫ লাখ টাকার ওপরে বলে দাবি করা হয়। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাদশা ফয়সাল আহম্মেদ ভিজিডি’র চাল বিতরণ না করে ভুয়া সই/স্বাক্ষর গ্রহণ, ভিডিজির উপকারভোগীদের ভিজিডি কার্ড আসৎ উদ্দেশ্যে নিজের কাছে জমা রাখা, চাল বিতরণের দিন ক্ষণ যথা সময়ে ট্যাগ অফিসারকে অবহিত না করা এবং সুবিধাভোগীদের সাথে অসদাচরণ এবং চাল বিতরণে ইউনিয়র পরিষদ সদস্যদের কে সময়মত সম্পৃক্ত না করে চাল বিতরণ সংক্রান্ত অভিযোগ সমূহের সত্যতা প্রমাণিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ হেমায়েত উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, জেলা প্রশাসক মহোদয় তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র প্রেরণ করেছেন। অভিযোগকারীরা বলেন ২০১৯ সালে ১২ মাসের বদলে চেয়ারম্যান মাত্র ৯ মাসের চাল বিতরণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে আলীপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বাদশা ফয়সাল সাংবাদিকদের বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
Discussion about this post