বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ মর্নিং বার্ড তীরের কাছে আনার পর ৩০ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একজনের মরদেহ। বেলা ১২টায় ডুবুরিরা ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
সোমবার রাতভর তল্লাশির পর সকাল ৮টায় আবারো শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। অভিযানের শুরু থেকে ডুবুরিরা ডুবে থাকা লঞ্চে আর কোন মরদেহ আছে কিনা তল্লাশির পাশপাশি চেষ্টা করে লঞ্চটি তীরে ভেড়ানোর । মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় উদ্ধার হয় আরেকজনের মরদেহ।
বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, ফিটনেস ছাড়া যাত্রীবাহী লঞ্চ চলে না। ফিটনেস ছাড়া যদি কেউ লঞ্চ চালায় তাহলে নৌ-অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের তা দ্রুত মেরামত করার নির্দেশ দেয়। মেরামত করার পর নৌ-অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তা আবার দেখে তাদের অনুমোদন দেয়। তবে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হলো অবহেলা এবং অসতর্কতা।
উদ্ধারকারী জাহাজ আটকে থাকায় এয়ারব্যাগ লাগিয়ে তীরে টেন আনার চেষ্টা চলে। পরে দুপুর ২টার কিছু পরে মর্নিং বার্ডকে তীরে আনার পর সমাপ্তি ঘোষনা করা হয় উদ্ধার অভিযান।
বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, আমাদের সকল সংস্থার ডুবুরিরা বার বার লঞ্চটির ভেতর গিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন আর কোন মরদেহ আছে কি না। আজ দুপুরে আরেকটি মরদেহ পেয়েছি আর কোন মরদেহ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আমরা আমাদের উদ্ধার অভিযান অফিসিয়ালি সমাপ্ত ঘোষণা করছি।
সোমবার সকালে বুড়িগঙ্গার ফরাশগঞ্জ ঘাটের কাছে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ৫০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়। গতকাল উদ্ধার করা হয় ৩২ জনের মরদেহ।
Discussion about this post