করোনা মহামারির কারণে এক বছর পিছিয়ে জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিতব্য গ্রীষ্মকালীন টোকিও অলিম্পিকে বিদেশি দর্শকদের প্রবেশের অনমুতি মিলছে না। তাদের ছাড়াই এবারের গেমস আয়োজিত হবে বলে আয়োজক কমিটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। গেমস উপভোগের জন্য জাপানি নাগরিকরা তুলনামূলক অনেক বেশি নিরাপদ বলেই আয়োজকদের দাবি।
তাদের বিপরীতে বিদেশ ভ্রমণ করে আসা পর্যটকরা ভাইরাসের বাহক হিসেবে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলেই তাদেরকে বাদ দিয়েই গেম আয়োজন করতে বাধ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। এই ধরনের সিদ্ধান্ত একটি গেমসের জন্য মোটেই সুখকর নয়, এমনকি কঠিনও বটে। অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসে এই ধরনের সিদ্ধান্ত প্রথমবারের মতো গ্রহণ করা হলো। মহামারির মধ্যেও গেমস আয়োজনে বদ্ধপরিকর জাপানি আয়োজক কমিটি এভাবে হলেও খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জন্য ভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে চায়।
সরাসরি মাঠে বসে উপভোগের সুযোগ না থাকলেও বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন সম্প্রচারের মাধ্যমে গেমসের আবহ ছড়িয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান। এক বিবৃতিতে স্থানীয় আয়োজক কমিটি, জাপানিজ অফিসিয়াল ও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক প্রধান, গেমস অফিসিয়ালরা জানিয়েছেন, জাপানের ভাইরাস পরিস্থিতি এখনো বেশ চ্যালেঞ্জিং অবস্থায় আছে। মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় জাপানে প্রবেশ করাটা খুব একটা ভাল সিদ্ধান্ত হবে না। যে কারণে বিদেশি সমর্থকদের উদ্দীপনা থেকে বঞ্চিত হতে হবে টোকিওকে।
এই বিবৃতির সথে পুরোপুরি সহমত পোষন করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ও আন্তর্জাতিক প্যারালিম্পিক কমিটি। আইওসি প্রধান থমাস বাখ জানিয়েছেন সকলের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এই ধরনের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
Discussion about this post