শুক্রবার (৭ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে এসে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন তার চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ সময় ডা. জাহিদ হাসান জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত।
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করছে বিএনপি। অপেক্ষা শুধু সরকারের অনুমতির। যদিও বাস্তবতা ভিন্ন। খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়ন করতে দেয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। রবিবারের আগে তা হওয়ার সম্ভাবনা কম। আর সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় লন্ডন যেতে যুক্তরাজ্য সরকারের অনুমতি লাগবে।
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করার অন্যতম শর্ত ছিল তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তবে, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর তার পরিবার থেকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে, সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করার কথা বলেন স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী। সরকারের অনুমতি পেলে লন্ডন যাওয়ার কথা রয়েছে খালেদা জিয়ার।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিএনপি চেয়ারপার্সনের লন্ডন যাওয়ার বিষয়ে সবধরণের প্রস্তুতি তারা সম্পন্ন করে রেখেছেন। সরকারের অনুমতি পাওয়াই এখন একমাত্র বাঁধা বলে দাবি দলটির নেতাদের।
তবে, বিএনপির এ দাবির সঙ্গে বাস্তবতার পার্থক্য রয়েছে। গেল কয়েকদিন ধরে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা চললেও তার মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট নবায়ন করতে দেয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
যদিও সরকারের নির্দেশনা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত কোন আসামির পাসপোর্ট নবায়ন করার কোনও সুযোগ নেই পাসপোর্ট অধিদপ্তরের।
কোভিড পরিস্থিতি এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামির যুক্তরাজ্য প্রবেশে আর কোনও বাধা আছে কী না এমন প্রশ্নে সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ বলেন, ‘সরকারের অনুমতি থাকলে বাধা থাকবেনা।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ মে) ২৫ পর করোনা নেগেটিভ হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
Discussion about this post