দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে গুলশানে নিজ বাসভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী জানান, দুটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, ‘বয়স বিবেচনায়, মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তার সাজা স্থগিত করা হয়েছে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১/১ ধারা অনুযায়ী, এটা আইনি প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে।’
চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে পারবেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালে তো যেতেই পারবেন। কিন্তু হাসপাতালে যদি ভর্তিই হতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের সবচেয়ে মানসম্পন্ন হাসপাতাল সেখানে তো তিনি আছেনই। হাসপাতালে তাকে ভর্তি হতে হলে সেটা অবস্থার প্রেক্ষিতে বোঝা যাবে। কিন্তু শর্ত হচ্ছে তিনি ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং উক্ত সময় তিনি দেশের বাইরে গমন করতে পারবেন না।’
এই সিদ্ধান্ত কখন থেকে কার্যকর হবে, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘যখন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে মুক্তি দেবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাগারে আছেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্বাস্থ্যগত অবস্থার অবনতির কথা উল্লেখ করে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফায় জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
Discussion about this post