দেশে নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেছেন, আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুইজনই সুস্থ হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন এরইমধ্যে বাড়ি ফিরে গেছেন।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি, ইউনিসেফের প্রতিনিধি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. ফ্লোরা বলেন, করোনায় আক্রান্তের পর যে দুই জন সুস্থ হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন বাড়ি ফিরেছেন। সুস্থ আরেকজন বাড়ি যাননি। কারণ তার পরিবারের একজন অসুস্থ এবং বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা সবাই কোয়ারেন্টাইনে আছেন। সেজন্য তাকে হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। বাকি আরেকজনের রিপোর্ট এখনও পজিটিভ আসেনি।
তিনি বলেন, ‘চীনের পরিস্থিতি অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু চীনের বাইরে বেশ কিছু দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে ছোটদের বা যাদের বয়স কম তাদের মৃত্যুর হার কম। বৃদ্ধদের মৃত্যুর হার বেশি।’ তিনি বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদে অসুস্থতায় যারা ভুগছেন তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশের যারা মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করেন তাদের জানাচ্ছি, সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য কোনও স্বাস্থ্য সনদের প্রয়োজন নেই। সৌদি দূতাবাস জানিয়েছে, যারা সৌদি আরবে যাবেন তারা যেন সরাসরি ফ্লাইটে যান। ট্রান্সজিট আছে এমন ফ্লাইটে না যান। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসার মেয়াদ বাড়াবে। তাই আমাদের যেসব শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করেন তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ১৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন করে কারও শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি, নতুন করে কোনও রোগী নেই।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বিদেশফেরতরা ১৪ দিন ঘরে থাকুন। আমরা অনেক ক্ষেত্রে দেখছি তারা কোয়ারেইন্টাইনে থাকছেন না। আমরা অনুরোধ করেছি এতদিন। সরকারের সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ তারা মানছেন না। সেক্ষেত্রে আমরা সংক্রামক ব্যাধি আইন প্রয়োগ করতে পারি। কিন্তু আমরা শক্ত পদক্ষেপে যেতে চাই না।
Discussion about this post