করোনা ভাইরাসের ভিতর লকডাউন অবস্থায় রয়েছে হাজারো মানুষ, অনাহারে অর্ধাহারে না খেয়ে জীবন যাপন করেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এই অবস্থার ভিতরে কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৬ নং কনকদিয়া ইউনিয়নের ঝিলনা গ্রামে জেলেদের ভিজিএফের চাল সঠিকভাবে না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
চার মাসে জেলেদের ভিজিএফের ১৬০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও জেলেরা পাচ্ছে সর্বনিম্ন ৫০ কেজি সর্বোচ্চ ১০০ কেজি। এই বিষয়ে ভুক্তভোগীরা জানতে চাইলে তাদেরকে ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেয়া হয়। এ বিষয়ে বাউফলে বিভিন্ন মহলে জানানোর পরেও কোন সুফল মেলেনি। এরই প্রেক্ষিতে গত ২০ মে জেলেরা পটুয়াখালীর ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জেলেরা বলেন করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের কোনো প্রকার আয় উপার্জন না থাকায় আমরা ভিজিএফের চালের উপর নির্ভরশীল। এতোটুকু দিয়ে বৃদ্ধ মা-বাবার মুখে খাবার তুলে দিয়ে আসছি কিন্তু আমাদের বরাদ্দের অর্ধেক চাল আমরা পাইনি। তাই আমরা সকলে মিলে ডিসি বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব দেয়নি।
Discussion about this post