জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নন। চিকিৎসকের বরাতে এ কথা জানান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে একথা জানান জিএম কাদের।
এসময় এরশাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উনার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা দলের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে। যদি না জানানো হয় তবে ধরে নিতে হবে উনার অবস্থা অপরিবর্তিত।’
জিএম কাদের বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন উনার অবস্থা স্থিতিশীল। আর স্থিতিশীল মানে অবস্থা উন্নতির দিকে। উনার ফুসফুসের ইনফেকশন কিছুটা কমেছে।’
তবে তিনি বলেন, ‘উনার বয়সসহ সার্বিক শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। উনার কিডনির ইনফেকশনটা কিছুটা বেড়েছে। আশা করছি, উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফের জনগণের সেবায় ফিরে আসবেন।’
এর আগে রবিবার দিবাগত রাতে সাবেক এই সামরিক শাসকের মৃত্যুর গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গত ২৬ জুন থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি আছেন এরশাদ।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তার রক্তে হিমোগ্লোবিন ঘাটতির কথা জানান চিকিৎসকরা। পরে সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসেন এরশাদ। তাতেও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি তিনি।
অসুস্থতার জন্য এরশাদ তার দলের কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও যোগ দিতে পারছেন না।
রংপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর হুইলচেয়ারে জাতীয় সংসদে শপথ নিতে গিয়েছিলেন তিনি।
ঈদুল ফিতরের আগে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে কূটনীতিকদের সম্মানে এক ইফতার মাহফিলে আসেন এরশাদ। সেটাই ছিল তার জনসম্মুখে শেষ আসা। এরই মধ্যে ট্রাস্ট গঠন করে তাতে তার সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দান করেছেন।
Discussion about this post