বুধবার (৩রা জুন) দুপুরে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন পড়েন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এসময় তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে ১৫,১০৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর ৫০টি ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় ১২,৫১০টি নমুনা। এ নিয়ে মোট ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৮৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে শনাক্ত ২,৬৯৫ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৫৫ হাজার ১৪০ জন শনাক্ত হলেন। নতুন করে পরীক্ষায় করোনা আক্রান্তের হার ২১.৫৪ শতাংশ। আর, গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৪৭০ জন করোনা থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন। এ নিয়ে মোট ১১ হাজার ৫৯০ জন সুস্থ হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে ৩৯৫ জনকে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে আছেন ৬,৪৯৮ জন।
এসব তথ্য দেয়ার আগে বুলেটিনের শুরুতেই নাসিমা সুলতানা জানান, এই মৃতদেহ নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী নিয়ম মেনে সতর্কতা অবলম্বন করে দাফন বা সৎকার করা যায়। বিধি মেনে পারিবারিক কবরস্থানেই মৃতদের দাফন করা যাবে। কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য আলাদা কবরস্থানের প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে ডেডবডি ব্যাগে অথবা বডিব্যাগ না পাওয়া গেলে ভালো করে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে দাফন সম্পন্ন করতে হবে। দাফন সংক্রান্ত তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে আছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় গত ৮ই মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিলো। কিন্তু এরপর থেকে বেড়েই চলেছে রোগীর সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা সাধারণ ছুটি তুলে নিয়েছে সরকার। সারা দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল।
Discussion about this post