তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় বৃহত্তম শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান। তার সাথে পরিচয়টা দীর্ঘ সময়ের। বিচক্ষণ এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন এই ব্যবসায়ী বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য খাতকে সুসংহত করতে বসুন্ধরা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। আবাসন দিয়ে শুরু হলেও দিনে দিনে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবসায় সম্প্রসারিত হয়েছে সিমেন্ট, কাগজ, ইস্পাতজাত পণ্য উৎপাদন, এলপি গ্যাস, বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণসহ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন খাতে। মিডিয়া খাতেও বসুন্ধরা গ্রুপের রয়েছে বিশাল বিনিয়োগ। দেশের শীর্ষস্থানীয় চারটি মিডিয়া হাউজ (দৈনিক কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান ও বাংলানিউজ২৪ডটকম) এই গ্রুপের মালিকানাধীন। বাজার মূল্য এবং আর্থিক প্রবৃদ্ধির হিসেবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের সকল কর্মকান্ডের মূল মন্ত্র “দেশ ও মানুষের কল্যাণে”। কথা হচ্ছিল আহমেদ আকবর সোবহানকে নিয়ে। আজ (১৫ ফেব্রুয়ারি) তার জন্মদিন।
এমন একজন মহান মানুষের জন্মদিনের শুরুতেই শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হই। অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথেই বরাবরের মতো তিনি আমাকে ছোট ভাই হিসাবে স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে আবদ্ধ করেছেন।
আহমেদ আকবর সোবহানের জন্ম ১৯৫২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার ইসলামপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তাঁর বাবা আলহাজ্ব আবদুস সোবহান ছিলেন ঢাকা উচ্চ আদালতের আইনজীবি এবং মা উম্মে কুলসুম ছিলেন গৃহিনী। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে আকবর সোবহান সবার ছোট। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অধ্যয়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্র জীবনে আহমেদ আকবর সোবহান ছিলেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী একজন ক্রীড়াবিদ এবং সহপাঠীদের মধ্যে সবচেয়ে চৌকষ।
১৯৭৮ সালে আহমেদ আকবর সোবহান অভ্যন্তরীণ সেবা খাতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যবাসয়িক যাত্রা শুরু করেন। বসুন্ধরা গ্রুপের পথচলা শুরু হয় ‘ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রাঃ) লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে, যা পরবর্তীকালে ‘বসুন্ধরা হাউজিং’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। গূণগত মান এবং সর্বোচ্চ সেবার নিশ্চয়তা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি হয়ে উঠেছে ভোক্তাদের আস্থার অন্য নাম। এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম ছিলো না কখনোই। বহু চৎরাই উৎরাই, বাঁধা পার হতে হয়েছে।
জন্মতিথিতে আহমেদ সোবহান আকবর ভাইয়ের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে শুধু একটাই ফরিয়াদ, তিনি যেন সুস্থ থাকেন এবং দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, এমনটাই আশা প্রকাশ করেন ড. কাজী এরতেজা হাসান।
Discussion about this post