আত্রাই(নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নোভেল করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুত। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুসারে হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে পাঁচ শয্যা বিশিষ্ট আলাদা করোনা আইসোলেশন ইউনিট। এছাড়াও হাসপাতালের পক্ষ থেকে উপজেলার সকল উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর উপ-সহকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারন মানুষদের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে করোনা সতর্কতায় সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। মজুদ রয়েছে করোনা ভাইরাস মোকাবেলার উপকরন সমূহ। এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার রোকসানা হ্যাপি জানান, বর্তমান বিশ্বে নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি আকার ধারন করেছে। আমরাও তার বাহিরে নই। তাই আমরা যদি পূর্ব থেকে এই ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক ও সচেতন হই তাহলে আমাদের দেশে করোনার আক্রমণ তেমন প্রকট হবে না। তাই এই ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে হাসপাতালের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২৬জনের প্রত্যেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে সম্প্রতি দেশে এসেছেন। তার মধ্যে ১১জনের হোম কোয়ারেন্টাইন দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়েছি। বর্তমানে ১৫জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার নওদুলী গ্রামে গার্মেন্টস থেকে আসা এক মহিলাও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই। জননিরাপত্তার স্বার্থে তাদের সবাইকে প্রায় দু’সপ্তাহ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে থাকতে হবে। ১৪দিনের মধ্যে যদি তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে কোন আতঙ্ক নয়, হতে হবে সচেতন, কি কি বিষয় অনুসরন করলে ও মানলে করোনা থেকে মুক্ত থাকা যাবে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতনতামূলক আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এই বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপেক্সের বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতামূলক সাইনবোর্ডও স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও পরিস্কার-পরিছন্ন থাকা করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার আরেকটি অন্যতম বিষয়। তাই পুরো হাসপাতালকে পূর্বের চেয়ে বর্তমানে অনেক পরিস্কার-পরিছন্ন রাখা হয়েছে। করোনা সন্দেহ কেউ যদি ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তাহলে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল এসে উন্নত চিকিৎসা দেবেন। তিনি আরো জানান, প্রবাসীদের মধ্যে ভাইরাসজনিত কোনা সমস্যা আছে কিনা সেটার জন্য তাদের নিজ বাসায় হোম কায়ারটাইন থাকতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমরা এ বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্বের সঙ্গে মনিটরিং করছি।
Discussion about this post