বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী ২ মাসের মধ্যে সকল অবৈধ গ্যাস লাইন অপসারণ করতে হবে। পরিকল্পিত এলাকার বাইরে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংযোগ দেয়া যাবে না।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) গ্যাস বিতরণ সংস্থাসমূহের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অসদাচরণের জন্যই রাজনীতিবিদদের বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। কোন বিভাগের কোন কোন কর্মকর্তা অবৈধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত তাদের তালিকা করা হচ্ছে। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে প্রথমে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে পরে অভিযোগ তদন্তের ব্যবস্থা নিন। ট্রান্সমিশন লাইনের উপর কোন বিল্ডিং বা স্থাপনা থাকলে দ্রুত অপসারণ করতে হবে। গ্যাসের বকেয়া বিল সংগ্রহের টাইম লাইন নির্ধারণ করুণ। এ সময় বিল খেলাপীদের তালিকা হালনাগাদ করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, ইভিসি মিটার এবং প্রি-পেইড মিটার সকল গ্রাহকের জন্য স্থাপন করতে হবে। অটোমেশন করার প্রক্রিয়াও ধীর গতিতে চলছে; যা কাঙ্ক্ষিত নয়। ট্রাস্কফোর্সের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জের বিস্ফোরণের বিষয়ে তিনি বলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড-এর ফতুল্লা এলাকায় যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে নাই। তাদের শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।
তারা হলেন, ১. ব্যবস্থাপক প্রকৌ. মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ২. উপব্যবস্থাপক প্রকৌ. মাহমুদুর রহমান রাব্বী, ৩. সহকারী প্রকৌশলী প্রকৌ. এস.এম. হাসান শাহরিয়ার, ৪. সহকারী প্রকৌশলী প্রকৌ. মানিক মিয়া, ৫. সিনিয়র সুপারভাইজার মোঃ মনিবুর রহমান চৌধুরী, ৬. সিনিয়র উন্নয়নকারী মোঃ আইউব আলী, ৭. সাহায্যকারী মোঃ হানিফ মিয়া এবং ৮. প্রকর্মী মোঃ ইসমাইল প্রধান।
ভার্চুয়াল এই আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: আনিছুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবিএম আবদুল ফাত্তাহ ও বিতরণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post