শুক্রবার (৭ আগস্ট) বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আয়োজনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। এসময় দীপু মনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বিপ্লব। যেখানে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনের সঙ্গে একান্ত সঙ্গী হয়ে যাবে প্রযুক্তি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এই শিল্প বিপ্লবের ফলে গতানুগতিক অনেক চাকরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আবার চাকরি ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। এই চ্যালেঞ্জকে আমরা একটি সম্ভাবনায় পরিণত করতে চাই। এজন্য আমাদেরকে প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। আর এ লক্ষ্যে ২০৫০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদেরকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। জীবনব্যাপী শিখতে শিক্ষাই হবে আমাদের প্রধানতম দক্ষতা।’
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো: আমিনুল ইসলাম খান প্রমুখ।
এসময় মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের জনশক্তিকে প্রয়োজনে রিস্কিলিং ও আপস্কিলিং করার প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য আমরা বিভিন্ন রকম শর্ট কোর্স চালু করতে যাচ্ছি। সবার জন্য কারিগরি শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে কাজ করছে সরকার।’
মো: আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে ইনকাম বৈষম্য তৈরি হবে। কিছু লোক অল্প সময়ে প্রযুক্তিগত দক্ষতার কারণে অনেক বেশি আয় করবে আর অন্যদিকে কিছু লোক দীর্ঘসময় পরিশ্রম করে ও কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করবে। তাই শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কারিকুলাম পরিবর্তন করতে হবে।
Discussion about this post