তিনি ওই বার্তায় বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহার আগে তালেবান তাদের হাতে থাকা সব সরকারি বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি আছে। তবে শর্ত হচ্ছে, তারা সরকারের কাছে যে তালিকা দিয়েছেন সে অনুযায়ী সরকারি কারাগারগুলোতে আটক সকল তালেবান বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।
তালেবান দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার সঙ্গে কথিত শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পর চলতি বছরের মার্চ মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় চুক্তি সই করে। তবে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করলেও কাবুল সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে এখন পর্যন্ত অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছে তালেবান।
সোহেল শাহিন তার টুইটার বার্তায় আরো বলেন, বন্দি মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ঈদুল আজহার পর আফগান সরকারের সঙ্গে তারা আলোচনায় বসার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছেন।
তবে তালেবান এমন সময় তাদের তালিকা ধরে বন্দি মুক্তির দাবি জানাচ্ছে যখন আফগান সরকার বলছে, আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকায় এবং আদালত প্রদত্ত শাস্তির মেয়াদ শেষ না হওয়ায় তালেবানের দেয়া তালিকার প্রায় ৬০০ বন্দিকে মুক্তি দেয়া সম্ভব হবে না। কাজেই তালেবান যেন মুক্তির জন্য তাদের বন্দিদের নতুন তালিকা তৈরি করে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে তালেবানের সঙ্গে আমেরিকার স্বাক্ষরিত চুক্তি তে বলা হয়েছে, আফগান সরকার তালেবানের পাঁচ হাজার বন্দিকে এবং তালেবান আফগান সরকারের এক হাজার বন্দিকে মুক্তি দেয়ার পর দু’পক্ষের মধ্যে সরাসরি শান্তি আলোচনা শুরু হবে।
Discussion about this post