প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন এখন বিশ্বব্যাপী সমস্যা। যারা নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন করে, তারা পশুর চেয়েও অধম। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্ষণ রোধে পুরুষদেরও সোচ্চার হতে হবে, পাশাপাশি সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
রোববার (৮ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে নারীরা নির্যাতনের শিকার হলে তা লোকলজ্জার ভয়ে বলার সাহস পেতো না। মামলা করতে চাইতো না। আমরা এর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। দোষীদের যথাযথ শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। যার কারণে নারীরা এখন বলার সাহস করছে, মামলা করছে।
তিনি বলেন, নারীরা যত শিক্ষিত হবে সমাজ তত দ্রুত এগিয়ে যাবে। একজন নারী যদি কাজ করে কামাই-রোজগার করেন, তাহলে সংসারে তার সম্মান বাড়ে। পাশাপাশি সংসারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সব বীর নারীসহ দুই লাখ নির্যাতিত মা-বোনদের এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নারী জাগরণের অগ্রদূতদেরকে, যাদের আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠার বিনিময়ে নারীর সমঅধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফল হয়েছে, আমি তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে নারীদের সম্পৃক্ত করেছিলেন, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানে রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনের সব কর্মকাণ্ডে নারীর অধিকার নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিগত ১১ বছরে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীকে সহযাত্রী করা হয়েছে। নারীর সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১’, ‘নারী উন্নয়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫’, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’, ‘পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) বিধিমালা ২০১৩’ সহ ‘ডিএনএ আইন’, ‘যৌতুক নিরোধ আইন’, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ ও ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ বিধিমালা’।
Discussion about this post