ব্যাক্তিগত সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) ছাড়াই মরদেহ দাফন করেছিলেন তারা। এর পরেই দ্রুত বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হয় এবং ফেসবুকে ‘নওগাঁর বাহাদুর সন্তান’সহ বিভিন্ন উপাধিতে ভষিত হন তারা। কিন্তু এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে তাদের প্রতিবেশি ও স্বজনরা বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয়। তবে প্রশাসন বলছেন তাদেরকে একটি ঘরে নিরাপদে রাখা হয়েছে। মৃত ব্যাক্তির নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ কেন্দ্রীয় কবরস্থানে ওই মৃত ব্যাক্তিকে ব্যাক্তিগত সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) ছাড়াই দাফন করেন ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য। স্কাউট সদস্যরা হলেন, নওগাঁ শহরের মাষ্টার পাড়া মহল্লার ফরিদুল ইসলাম, নিরব রহমান, মারুফ হোসেন ও সোহাগ। বিকেলে স্কাউটরের সদস্যরা পরিবারে ফিরতে চাইলে পাড়ায় ঢুকতে বাধা দেয় এলাকাবাসী। এমনকি পরিবারের লোকজনও বাড়িতে আসতে বাধা দেয়। ওইদিন রাত থেকেই সবাই একটি ঘরে রাত্রী যাপন করছেন।
স্কাউট সদস্য ফরিদুল ইসলাম জানান, জানাযা শেষে মৃতদেহ দাফনে ভয় পাচ্ছিলেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের লোকজন। কবরস্থান এলাকায় মৃতদেহ রেখে তারা (ইফার লোকজন) বেশ খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমনকি দাফনের সময়ও কাছে আসেনি তারা। পরে নিজ দ্বায়িত্বে তারা মরদেহ দাফনের কাজ করেছেন। এসময় তাদের শরীরে পিপিই না থাকায় শুধু মাস্ক ও হাতে গ্লোপস পরে লাশ দাফন করেছেন তারা।
জেলা দাফন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ক্বারি মোয়াজ্জেম আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দাফনের সময় ইফার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ৫ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। স্কাউট সদস্যরা সহযোগিতা করেছেন মাত্র। তবে পিপিই ছাড়া মরদেহ কবরে নামাতে দেয়া ঠিক হয়নি বলেও স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, ঘটনা জানতে পেয়ে স্কাউট সদস্যদেরকে নিরাপদে একটি ঘরে রাখা হয়েছে। মৃত ব্যাক্তির নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য দাফন কমিটিকে আরো সতর্ক হতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post