মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ ইউনিয়নে মাদকাশক্ত ছেলেকে মা জুলেখা বেগম এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা তুলে না দেওয়ার কারনে মাকে অমানবিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি হরগজ নদীর উত্তর পার গ্রামে ঘটেছে। এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা প্ররোচনা মামলা করা হয়েছে।
এদিকে মামলার বাদী জুলেখার ভাই দুখীমিয়া জানায়, ভাগিনা রুবেল এলাকায় মাদক ব্যবস্যা করে। বোন বাঁধা দিলে মাঝে মধ্যে ধরে মারধর করতো রুবেল। এনিয়ে এলাকায় একাধিক বার বিচারও হয়েছে। দুখী মিয়া আরো জানায়, সোমবার বোনকে ভাগ্নিনা এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা তুলে দিতে বলে। কিন্ত আমার বোন দিতে রাজি না হলে ওই দিনই তাকে অমানবিক নির্যাতন করে ভাগিনা রুবেল। আমার বোনকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যা করে বলে প্রচার করে।
স্থানীয়রা জানায়, জুলেখার ছেলে মোঃ রুবেল মিয়াকে মাদক সেবন ও বিক্রি না করার বাঁধা দেওয়ায় সোমবার রাতে মা কে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করে চলে যায়। এক পর্যায়ে ছেলের অত্যাচার সইতে না পেরে ছেলের সাথে অভিমান করে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে।
হরগজ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন খান জ্যোতি জানান, রুবেল একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাকে নিয়ে এলাকায় একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী আবুল হোসেন ও ছেলে পলাতক রয়েছে বলে জানান।
সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, ছেলেকে এনজিও থেকে টাকা তুলে না দেওয়ায় ছেলে রুবেল মিয়া মাকে অমানবিক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে ছেলের সাথে অভিমান করে সোমবার বিকেলে জোলেখা বেগম ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে স্বামী ও ছেলের বিরুদ্ধে হত্যা প্ররোচণা মামলা করা হয়েছে।
Discussion about this post