ADVERTISEMENT
পাবনার চাটমোহরে গাছে গাছে আমের মুকুল। শীত পেরিয়ে প্রকৃতিতে বসন্ত এসে গেছে ক’দিন হলো। এরই মধ্যে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আম গাছ। সোনালি হলুদ রঙের আমের মুকুলের মনকাড়া ঘ্রাণ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। মৌমাছির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে গুনগুন শব্দে। ছোট পাখিরাও মুকুলে বসছে মনের আনন্দে। এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে জগন্নাথপুর পৌর এলাকা ও উপজেলার ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের আম গাছে। দৃশ্যটি যে কাউকেই কাছে টানবে। দূরন্ত শৈশবে কাঁচা-পাকা আম পাড়ার আনন্দ অনেকেরই স্মৃতিতে চির অমর। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মন ও প্রাণকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল। ছয় ঋতুর এই বাংলাদেশে পাতাঝড়া ষড়ঋতুর রাজা বসন্ত। আবহমান বাংলার সৌন্দয্যের রাজা বলে পরিচিত গ্রীষ্মকাল। শীতের জড়তা কাটিয়ে কোকিলের সুমধুর কুহুতানে মাতাল করতে আবারও ফিরে এলো বাংলার বুক মাতাল করতে ঋতুরাজ বসন্ত। পলাশ ফুটেছে শিমুল ফটেছে। ফালগুনের হাওয়ায় কৃষ্ণচূড়ায় রং লেগেছে। বসন্তের কোকিলের ডাক ছড়িয়ে পড়েছে। বসন্তের ফুলের সমারোহে ছেয়ে গেছে চারদিক। সকলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রকৃতির হাতছানিতে শহর-গ্রামগঞ্জে আমের বৈলে মুকুল ভরে উঠেছে। কেড়ে নিয়েছে প্রকৃতি প্রেমীদের মন। গাছে গাছে এসব মুকুল সৌন্দয্যের প্রতীক হয়ে জেগেছে। বসন্তের আগমনের পূর্বেই আম গাছে মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। পাবনার চাটমোহর উপজেলার বসত-বাড়ির আশ-পাশে আম গাছে দেখা যাচ্ছে আমের বৈলে ভড়ে উঠেছে। গ্রামগঞ্জের যেসব বাড়ির আমগাছে মুকুল এসেছে সেসব বাড়ির লোকজন আম পাকার পর নিজেরা খেয়ে থাকেন এবং আত্মীয়-স্বজনের মাঝে বিলি করে থাকেন। আর গ্রামের বেশির লোকজনই গাছের আম গ্রামের হাটে বা শহরের বাজারে এনে বিক্রি করে থাকেন।
Discussion about this post