নোয়াখালী সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা নারী চোর চক্রের ছয় সদস্যসহ সাতজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৪ বস্তা চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটকরা হলেন- জেলা শহর মাইজদীর নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার জুলেখা আক্তার (৩৮), জেসমিন আক্তার (৩৮), লক্ষ্মী নারায়ণপুর এলাকার সেলিনা আক্তার (২৭), রোকসানা আক্তার (২৫), কাদির হানিফ ইউনিয়নের সফিপুর গ্রামের রোজিনা আক্তার (৩০), মনোয়ারা বেগম তানিয়া (৩৫) ও মাইজদী নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার জহির আহম্মেদ (৫৫)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালী ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাঈদ মিয়ার নেতৃত্বে সোমবার ( ৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত পৃথক স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাত ১২টার দিকে প্রথমে নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার জুলেখার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে একই এলাকা থেকে জেসমিন ও তার স্বামী সিএনজিচালক জহির, লক্ষ্মী নারায়ণপুর থেকে সেলিনা, রোকসানা ও সফিপুর থেকে রোজিনা এবং তানিয়াকে আটক করা হয়। পরে ভোরের দিকে সোনাপুর এলাকায় চোর চক্রের দুই সদস্য আজমীরি ও শান্তার বাড়িতে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে গেলেও তাদের বাড়িসহ আটকদের বাড়ি থেকে মোট ১৪বস্তা চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়।
নোয়াখালী ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামন সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক নারী চোর চক্রের সদস্যরা নোয়াখালী, ফেনী ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলা শহরের বড় বড় শপিংমলগুলোকে টার্গেট করে কাজ করতো। এরা ৭/৮জন এক সঙ্গে প্রথমে একটি দোকানে গিয়ে কোনো কর্মচারীকে টাকা দিয়ে হাত করে নিতো। পরে তাদের মধ্যে ২/৩জন দোকানের মালিক বা ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে তাদের ব্যস্ত রাখতো। এই সুযোগে অন্য সদস্যরা দোকান থেকে মালামাল চুরি করে নিয়ে কেটে পড়তো।
তিনি আরও জানান, উদ্ধার করা মালামালের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, থ্রি-পিস, জুতা ও কসমেটিকস ইত্যাদি। এ ঘটনায় মামলা করে আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই নারী চোর চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Discussion about this post