দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ঃ
পটুয়াখালীর দশমিনায় প্রতিমা ভাংচুরের মামলা করায় স্থানীয় প্রভাবশালী ও আসামীপক্ষ মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোবাবার বেলা ১১টায় বাদী তার বসতবাড়িতে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে এ অভিযোগ করেন। মামলার বাদী প্রিয়লাল চক্রবর্তী জানান, গত শনিবার সকালে প্রতিমা ভাংচুরের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই শামীমের সাথে ঘটনাস্থলে সন্দেহজনক আসামীদের পক্ষে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি উপস্থিত থাকায় চার সাক্ষী নিরাপত্তার ভয়ে উপস্থিত হয়নি। বাদীর বড়ভাই হেমলাল চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মাষ্টার মুঠোফোনে তাকে মামলা তুলে নিলে বাদীর বসতবাড়ি তাদেরকে দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান। বাদীর পিতা হরলাল চক্রবর্তী বলেন, মামলার দিন গাড়ী যোগে থানায় যাওয়ার পথে দু’জন ব্যক্তি আমাদেরকে দাবায় দমকায় ও শাসিয়ে চলে যায়। বৃদ্ধ ও চোখে না দেখার কারনে ওই ব্যক্তিদেরকে চিনতে পারি নাই। পাশের বাড়ির কৃষ্ণ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আমার কাছে আসামী পক্ষের সোহরাব মাষ্টার প্রস্তাব দেন, মামলা মোকদ্দমা করে কি হবে, তার থেকে আমরা মিলাইয়া দেই। এছাড়া বাদী ও তার পরিবার অভিযোগ করে বলেন, আমরা মামলা করে জীবনের নিরাপত্তাহীনতাসহ খেয়ে না খেয়ে বসবাস করছি। এ বিষয়ে মোঃ সোহরাব মাষ্টার স্থানীয় সংবাদকর্মীদেরকে মুঠো ফোনে জানান, আমার সাথে কথা হয়েছে কৃষ্ণ দেবনাথের সাথে। কিন্তু মীমাংসার কথা নয়, মিথ্যা মামলার ব্যাপারে। জমিতো আমার একা নয়। এ ব্যাপারে শাহজাহান মষ্টার অস্বীকার করে বলেন, আমি ইউনিয়নের আ’লীগের সাধারন সম্পাদক,আমি তো হিন্দুদের পক্ষেই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএসবি’র এস,আই মোঃ এনায়েত ও কন্টোষ্টবল মোঃ জলিল। উল্লেখ থাকে যে, গত বুধবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তারা বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামে হরলাল ঠাকুর বাড়ি ও গোড়াচাঁন গাইন বাড়ির মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর ও হরলাল ঠাকুরের বসতঘর চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দশমিনা থানা প্রিয়লাল চক্রবর্তী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্দেহজনক পাঁচ আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ### সাফায়েত হোসেন
Discussion about this post