লতাপাতা আর সবুজ শ্যামলে ভরপুর ছিল দশমিনার গ্রাম-পথঘাট প্রান্তর ও লোকালয়। কিন্তু সেই সৌন্দর্য এখন হুমকির মুখে। আগে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অনেক দেশী গাছগাছালি পাওয়া যেত কিন্তু এখন অনেক গাছগাছালি বিলুপ্তির পথে। এর মধ্যে অন্যতম বেতগাছ। এখন আর আগের মতো বেত গাছ গ্রামে-গঞ্জে দেখা যায়না। অথচ শুকনো বেত দিয়ে তৈরি হস্তশিল্পের কদর অনেক বেশি এবং এগুলা অনেক পরিবেশবান্ধব। বেত দিয়ে তৈরি হস্তশিল্পগুলো হচ্ছে- চেয়ার, টেবিল, মোড়া, ডালা, কুলা, , ঢুষি, হাতপাখা, চালোন, গোলা, ডোলা, বই রাখার তাক, সোফা, দোলনা এবং ফুলদানি তৈরীসহ নানা কাজে বেতের অনেক কদর রয়েছে। হাতের লাঠি তৈরি সহ অনেক কাজে বেত ব্যবহার হয়ে থাকে। আর শহরের অভিজাত শ্রেণীর জন্য চেয়ার, সোফা, দোলনা, ফুলদানি তৈরিসহ নানা কাজে বেতের অনেক কদর। বেত একটি মূল্যবান, টেকসই এবং স্মার্ট শ্রেণীর দ্রব্য হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু কালের বিবর্তনে মানুষ তার প্রয়োজনে ঝোপ-ঝাড়ের সংখ্যা কমিয়ে ফেলেছে। সাবাড় করে দিয়েছে বাড়ির আশপাশের ক্ষুদ্র প্রকৃতির বন। তাই গ্রাম থেকে আজ হারিয়ে যাচ্ছে অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান বেত। আজ কয়েক গ্রাম হাঁটলেও একটি বেতঝাড় দেখতে পাওয়া যায় না। বেত বনে ছিলো ডাহুক পাখির বাস। সকালে দুপুরে রাতে ডাহুক আপন মনে ডেকে যেত মন মাতানো সুরে। তাই প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা ও বাণিজ্যিক প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ গ্রামে এখনো যে সকল ক্ষুদ্র ঝোপ-ঝাড় রয়েছে, সেখানে বেত ঝাড় বৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করলে ক্ষুদ্র কুটির শিল্প প্রাণ ফিরে পাবে বলে অনেকেই মনে করেন।
Discussion about this post