তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারামারি, ধারালো অস্ত্রের শোডাউনসহ নৃশংস হত্যাকান্ড মাদক বিক্রি, ধর্ষণের মতো ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা। নিজেদের অজান্তেই এ সকল কিশোরা জড়িয়ে পড়ছে অপরাধ জগতের অন্ধকার গর্তে। অপরাধ পরবর্তী মামলায় জড়িয়ে আইনের বেড়াজাল ছিঁড়ে ইচ্ছা থাকলেও সে সকল যুবক-কিশোররা ভালো পথে আসতে পারে না। সম্প্রতি সময়ে সামির ও রনি নামে দুই কিশোর নাঈম হাওলাদারের সাথে কনসার্টে থাকা কালিন সময়ে কথাকাটি হয়,এক পর্যায়ে নাঈম গুরুতর মাথায় জখম হয়। উক্ত ঘটনায় রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় এস.আই আজাদ সামির ও রনিকে ফায়দাবাদ থেকে গ্রেফতার করে,এ বিষয় নিয়ে দক্ষিণখান থানায় কিশোর অপরাধ আইনে মামলা করা হয়েছে,মামলা নাম্বার -০৫।আসামিদের আজ কোর্টে চালান করা হয়। এলাকার বাসিন্দাদের থেকে জানা যায়, ধর্ষণ মামলার আসামি ও মাদক ব্যাবসায়ী মাসুদ ও জাফরের নেতৃত্ব এলাকায় অনেক কিশোর এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত।নাম না বলে শর্তে এলাকার বাসিন্দারা জানান মাসুদ ও জাফরের ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাংয়ের উত্তাপ বেড়ে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়,দক্ষিনখান থানায় মাদক ব্যাবসায় জড়িত থাকায় জাফররের নামে একাধিক মামলা রয়েছে, মাসুদের নামে রয়েছে ধর্ষন মামলা। উত্তরা পূর্বথানা ছাত্রলীগে গণ- শিক্ষাবিষয় সম্পাদক নাঈম হাওলাদার। উত্তরা পূর্ব থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আলামিন প্রধান সাথে কথা বললে তিনি জানান, সামির ও রনি মাদকাসক্তির সাথে জড়িত, ওরা সবাই গ্রুপ বেঁধে চলাফেরা করে ওদের বয়স খুবই কম এবং কম বয়সে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। দক্ষিনখান থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম আহমেদের সাথে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটে।ফায়দাবাদ থেকে একটি দা ও স্টিলের পাইপ সহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে কিশোরে অপরাধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Discussion about this post