মে: আক্তার হোসেন
জাহিদপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল মালিকের বিরুদ্ধে অব্যবস্থপনা, স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিদ্যালয়ের ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
নিম্নমানের লেখাপড়া, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠনে অনীহা, পরিচালনা কমিটির সদস্যগনকে এড়িয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে গত ৪ জুন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন দিয়েছেন বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের পক্ষে আহবাব উদ্দিন, আজিজুর রহমান ও আজব আলী।
অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিগত ৩টি মেয়াদে এ বিদ্যালয়টি চলছিলো এডহক কমিটি দিয়ে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ব্যক্তিগত অনীহার কারণে বিদ্যালয় পরিচালনায় নতুন কমিটি গঠন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া সরকারের ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ হতে প্রাপ্ত বিদ্যালয়ের ১১ লাখ টাকার কোন হদিস মিলছে না, যা প্রধান শিক্ষক আত্মসাত করেছেন । প্রধান শিক্ষক স্বপরিবারে সিলেটে থাকার কারণে তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসতে পারেন না। মাঝে-মধ্যে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে যান। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রকৃত পাঠ গ্রহন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সদ্য প্রকাশিত এসএসসি ফলাফলে ৪৭ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২৩ জন পাস করেছে।
গত জানুয়ারী মাসে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর চাপে এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতে এলাকার ৫ জনকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়। এদিকে প্রধান শিক্ষক এলাকাবাসীর মতামত উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত পছন্দের লোককে সভাপতি ও শিক্ষানুরাগি সদস্য করতে নানা টালবাহানা শুরু করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিদ্যালয় সংলগ্ন বাজারে একটি সভা আহবান করা হয়। এ সভায় প্রধান শিক্ষককে আমন্ত্রন জানানো হলেও তিনি উপস্থিত হননি। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ওই সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়। পরবর্তীতে দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
সম্প্রতি শিক্ষার্থী-অভিভাবকগণের পক্ষে ৩ জন অভিভাবক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর প্রদান করা হয়। অভিযোগের অনুলিপি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের (সিলেট) চেয়ারম্যান, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও দেয়া হয়েছে।
ছাতক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পুলিন চন্দ্র রায় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি ব্যবস্হা নেওয়া হবে। আমরা লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার জন্য নোটিশ করেছি। স্কুলের ফলাফল বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন এটা খুবই দুঃখ জনক। করোনার কারণে আমরা স্কুলে যেতে পারছিনা। স্কুলের লেখা পড়ার মান কেন খারাপ সেটা খতিয়ে দেখা হবে ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে আমার কিছুই বলার নাই বলে ফোন কেটে দেন ।
Discussion about this post