গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জাল-ভূয়া সনদ ব্যবহার করে চাকুরী করায় প্রতারণার মামলা করেছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক । মামলা সুত্রে জানা যায়, উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গত ৯ আগষ্ট /১০ইং তারিখে কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন । তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্রামের আতিকুর রহমানের স্ত্রী নাজমুন্নাহার বেগম নিযোগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন দাখিল করেন । আবেদনের পেক্ষিতে কমিটি ২ অক্টোবর/১০ইং তারিখে তাকে নিয়োগ দিয়ে বিদ্যালয়ে যোগদান করার নির্দেশ প্রদাণ করেন ম্যানেজিং কমিটি । পরবর্তী গত ২০১২ সালে তিনি এমপিওভুক্ত হয়ে যথারিতী চাকুরী করাসহ সরকারী বেতন ভাতা উত্তোলন করতে থাকেন । এমনত অবস্থা চলতে থাকায় ঐ এলাকার প্রাক্তন মেম্বর মোজাফফার আলী ঐ শিক্ষিকার চাকুরী নেয়া কালিন সময়, তার দাখিল কৃত শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সঠিক নয়, বলে দাবি করে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলে বিভিন্নভাবে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয় । এরে পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ নভেম্বর/১৮ইং তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসার নাজমুন্নাহারের দাখিলকৃত প্রতিবেদনে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ভুয়া বলে প্রত্যয়ন দিয়েছেন । এতে করে জাল ও ভুয়াসনদ প্রস্তত করেন, যার রোল নং- ১২১১০৪৮২, রেজিঃ নং- ০৮০১৮২৫৬/২০০৮। তিনি গত মার্চ/২০১৯ ইং পর্যন, মোট ১০,৮৯৮২৩ টাকা উত্তোলন করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে । নাজমুন্নাহার সরকারী বিধি লংঘন ও অর্থ আত্তসাৎ করায় শিক্ষাবিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শে প্রধান শিক্ষক ফয়জার রহমান বাদি হয়ে গত রবিবার (৮মার্চ) ৪০৬,৪২০,৪৬৭,৪৬৮,৪৭১ ধারায় নাজমুন্নাহারকে আসামী করে থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন । যার মামলা নং- ১৬/২০ তাং- ০৮/০৩/২০২০ ইং। থানা অফিসার ইনর্চাজ আব্দুল্লাহিল জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
Discussion about this post