বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আলোচিত হাওয়া ভবনেই ক্যাসিনোর জন্ম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘হাওয়া ভবনেই ক্যাসিনোর জন্মস্থান। এটা অনেকেই জানেন’।
বুধবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার সেনানিবাস্থ শ্যুটিং ক্লাব পয়েন্টে আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কাদের।
ক্ষমতাসীনরা প্রতিটি ঘরকে ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর বানিয়েছে বলে গতকাল এক আলোচনায় মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। তার মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, হাওয়া ভবনেই ক্যাসিনোর জন্ম হয়েছে।
‘বাংলাদেশের ক্যাসিনোতো হাওয়া ভবন থেকেই শুরু হয়েছে। কাজেই এ প্রশ্নের জবাব প্রথমে ফখরুল সাহেবকেই দিতে হবে। হাওয়া ভবনই যে ক্যাসিনোর জন্মস্থান এটা অনেকেই জানেন’।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মদ ও জুয়া বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেই মদ জুয়ার প্রবর্তন করেছে বিএনপি সরকার। কাজেই এ কথা বলে লাভ নেই। তারা (বিএনপি) ব্যবস্থা নিতে পারেনি, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। খালেদা জিয়া যা পারেন নাই, শেখ হাসিনা তা পেরেছেন’।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ক্যাসিনোবিরোধী এই অভিযানকে সেনাপ্রধান স্বাগত জানিয়েছেন। কাজেই এখানে চুনোপুটি আর রাঘববোয়াল বলে কথা নয়। আপনি হয়ত দেখতে পেয়েছেন চুনোপুটি কিন্তু কাজটা করেছেন রাঘব বোয়ালের মত। যাদের ধরা হচ্ছে সত্যিকার অর্থেই তারা অপকর্মকারী। সত্যিকার অর্থেই তারা অভিযানের মূল টার্গেট’।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই অভিযান শুধু ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন ও কুতুবদিয়া তেঁতুলিয়া সারা বাংলায় যেখানে যত দুর্নীতিবাজ ও মাদকবাজ আছে সেখানে অভিযান চলবে। মাদক, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি যারাই করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে চুনোপুটিই হোক আর রাঘব বোয়ালই হোক।’
‘শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত এসব অপকর্ম নির্মূল না হবে ততদিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে’।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে লোক দেখানো নয়, এটা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযান। এসব অপকর্ম মানুষের সহ্যসীমার বাইরে চলে গেছে। কিছু কিছু অপকর্মের কারণে সরকারের তথা শেখ হাসিনার বিশাল বিশাল উন্নয়ন ম্লান হয়ে গেছে। কাজেই গুটিকয়েকের অপকর্মের জন্য আমাদের এতসব উন্নয়নকে ম্লান হতে দিতে পারি না’।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার (সাভার) মেজর জেনারেল আকবর হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ মেজর জেনারেল ইবনে ফজল সায়েখুজ্জামান, ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেডের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কর্নেল এসএম আনোয়ার হোসেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেষ হয়।
Discussion about this post