প্রতিনিধি দশমিনা ঃ
দশমিনা উপজেলায় যেখানে সবাই মরনঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমন থেকে বাচঁতে অপ্রান চেষ্ঠা করছে। সেখানে এখনও ঠিকানাবিহীন মানসিক প্রতিবন্ধীরা পথে প্রান্তরেই রয়েছে। যারা বুঝেনা করোনা ভাইরাস কি। করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহনের ফলে দশমিনার প্রধান সড়ক ও ইউনিয়নের হাটবাজারগুলোতে নেই আর আগের মত লোকসমাগম। দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু মানসিক প্রতিবন্ধীদের নেই মৃত্যুও ভয় বরং এ সময় তাদের খাদ্যভাবে জীবন সংকটময় হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয় নিরাপত্তাহীন ওইসব মানুষগুলোর কাছ থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশংকাও রয়েছে। সরেজমিনে দশমিনা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৫মার্চ থেকেই দশমিনার প্রশাসন মাইকিং করে সতর্কতা জারি করেন। ঔষধ,মুদি ও কাচাঁবাজার ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। সাধারন মানুষও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয় না। বলতে গেলে দশমিনা প্রায় জনশূণ্য। যেখানে জীবন বাচাঁনোর তাগিদে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ঘরে আর মানসিক প্রতিবন্ধীরা পথে প্রান্তে পড়ে রয়েছে। তাদের ভাষা বুঝেনা কেউ। তারাও কোন কিছু বুঝেও না। করোনা ভাইরাস নিয়ে তাদের নেই কোন ভাবনা। কিন্তু অপরিস্কার নোংরা অবস্থায় পড়ে থাকায় এসব মানসিক প্রতিবন্ধী মানুষের মধ্যে করোনা ছড়ানোর আশংকা দেখা দিয়েছে। এমনকি তাদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে অন্যদের মাঝেও। এদের দেখার যেন কেউ নেই। দশমিনা বাজারের সোহেলসহ আরো অনেকে পথচারী বলেন, আমরা যারা সাধারন মানুষ আছি তারা মাস্ক পরি। কিন্তু অসহায় মানসিক প্রতিবন্ধী লোকগুলো কিছুই বেঝে না। উল্টো খাবারের জন্য মানুষের অপেক্ষায় থাকে। হোটেল রেস্তোরা যখন খোলা ছিলো পথচারীদের সহায়তায় চলত তাদের খাবারের ব্যবস্থা। বলতে গেলে অনাহারেই তাদের দিন কাটে। অনেকেই রুটি, বিস্কুট দিলেও তাদের কপালে ভাত জুটে না। দশমিনার মানসিক প্রতিবন্ধীদের কোন পরিসংখ্যান না পাওয়ায় গেলেও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পথে প্রান্তে অন্তত প্রায় ৪০-৫০জন খাদ্য সংকটেসহ রয়েছে করোনা সংক্রমন ঝুঁিকতে। অসহায় এসব মানুষের খাবারের ব্যবস্থাসহ করোনা ঝুঁকি থেকে রক্ষা করার দাবী স্থানীয় সচেতন মহলের। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস জানান, এসব মানসিক প্রতিবন্ধী অসহায় মানুষের তালিকা তৈরি করে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা দেয়া হবে।
Discussion about this post