করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। ভাইরাসটি ১৬০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই বন্ধ করে দিয়েছে সীমান্ত। ফলে ব্যাপকভাবে মার খাচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য। অনেক দেশেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিমান চলাচল, দোকানপাট, রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে পর্যটন স্থানগুলোও। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের সরকার যদি সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা না নেয় বিশ্বজুড়ে অন্তত আড়াই কোটি মানুষ চাকরি হারাতে পারেন বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে আইএলও এই তথ্য জানিয়েছে।
অবশ্য আইএলও বলেছে, ২০০৮ সালে বৈশ্বিক মন্দার সময় যেমন বিশ্বজুড়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তেমন করা হলে
এই সম্ভাব্য বেকারত্বের হার অনেক কম হতে পারে। তাই চলমান বৈশ্বিক এ দুর্দশা থেকে উত্তরণে জরুরি এবং বড় উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। পাশাপাশি আর্থিক প্রণোদনা এবং আয় ও চাকরির ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের মধ্যে আছে সামাজিক সুরক্ষা, স্বল্পমেয়াদি কাজের পরিধির প্রসার, ছোট ও মাঝারি আকারের শিল্পের শুল্ক হ্রাস।
বিবৃতিতে আইএলও জানায়, করোনা মহামারীর প্রভাবে কম করে হলেও চাকরি হারাবেন ৮০ লাখ মানুষ। আর প্রভাব খুব বেশি মাত্রায় পড়লে বেকার হবে ২ কোটি ৪৭ লাখ। ২০০৮-০৯ সালে বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের সময় চাকরি হারিয়েছিলেন ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ।
আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, ‘এটা শুধু বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট নয়, এটা বৈশ্বিক শ্রমবাজার এবং অর্থনীতির সংকট। মানুষের ওপর এর ভয়ানক প্রভাব আছে। ২০০৮ সালে সারা বিশ্ব সংকট থেকে উত্তরণে সমন্বিতভাবে লড়াই করেছিল। এতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এখনো তেমন নেতৃত্ব দরকার।’ খবর রয়টার্সের।
Discussion about this post