বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট পাঁচজনের মৃত্যু হলো। তবে এই প্রথম সংস্থাটি স্বীকার করে নিলো যে বাংলাদেশে সীমিত আকারে হলেও কম্যুনিটি সংক্রমণ হচ্ছে বলে সংস্থাটি ধারণা করে।
তবে ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।
বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নে জবাবে তিনি বলছেন, ” আমরা দুইটি ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করছিলাম। এখন পর্যন্ত সেখানে সংক্রমিত হওয়ার উৎস সম্পর্কে জানা যায়নি। সে কারণে সীমিতভাবে কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে বলে আমরা মনে করছি। কিন্তু কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন বলার আগে আগে আমাকে বিস্তারিত তথ্যের বিশ্লেষণে বলতে হবে।”
”লিমিটেড স্কেলে যে এলাকাটির কথা আমরা বলছি, সেখানে লোকাল ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে ভেবে আমরা ওই এলাকাটিকে আমরা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে সেটা প্রতিরোধ করার কার্যক্রম নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এটা সারা বাংলাদেশব্যাপী ট্রান্সমিশন হয়েছে, এরকম কোন পরিস্থিতি এখনো হয়নি।” তিনি বলছেন।
যিনি মারা গেছেন, তিনি ১৮ মার্চ কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছিলেন। তখন তিনি তাঁর এলাকার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২১ তারিখ থেকে তাকে ঢাকায় এনে চিকিৎসা দেয়া হয়। তাঁর বয়স ছিল ৬৫। তাঁর ডায়াবেটিস ও হাইপার টেনশন ছিল বলে আইইডিসিআর জানিয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে. সংক্রমিতদের মধ্যে আরো দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন। এ নিয়ে মোট সাতজন সুস্থ হয়েছেন।
Discussion about this post