এমরান মাহমুদ প্রত্যয়,আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি : অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর সৃষ্ট বন্যার পর দুইদিন ধরে ধীরগতিতে কমতে শুরু করেছে ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর পানি তবে এখনও বিপদ কাটছেনা ভেঙে যাওয়া বাঁধার জন্য বিল এলাকার জনসাধারণের। ফলে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হলেও নদ-নদীর অববাহিকার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের সাহাগোলা, আহসানগঞ্জ, কালিকাপুর, হাটকালুপাড়া, পাঁচুপুর, বিশা ইউনিয়নের বানভাসি পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে প্রায়ই লক্ষাদিক মানুষ। পানিবন্দি মানুষদের বাড়ির ভিতর পানির স্রোত, ঘরের ভিতর থৈ-থৈ পানি, মেঝেতে গর্ত, তার মধ্যেই আড়ার ওপর মাচা পেতে জিনিসপত্র রেখে ভয়, আতংক, দুশ্চিন্তায়, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, শিশু খাদ্য, ওষুধপাতির সংকটে, পয়ঃনিস্কাশনের চরম সমস্যায় মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। অনেকেই পশু-পাখি, গরু-ছাগল নিয়ে রাস্তার উঁচু স্থানে পলিথিন টানিয়ে ঘর তৈরি করে থাকছে। আবার কেউ কেউ অবস্থান নিয়েছে স্কুল কলেজে। বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে এলাকার পানিবন্দি অনেক মানুষ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা প্রায় প্রতি বছরই বন্যায় পানিতে ভাসি অথচ আমাদের মেম্বার চেয়ারম্যান তেমন কোন কিছুই দেয় না। তবে ইতিমধ্যে প্রতিনিয়ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.ছানাউল ইসলামের নির্দেশে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে শুকনো খাবার চাল, চিড়া, মুড়ি, গুড়, শিশু খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে।
Discussion about this post