ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শরিফুর রহমান তার ওয়ার্ডবাসীকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, আপনার ঘরে থাকুন, আপনাদের খাবার ঘরে পৌঁছে দেবো। তিনি কথা রেখেছেন, ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। অন্যদিকে ওয়ার্ডবাসীও কাউন্সিলরের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। তারা ত্রাণের জন্য জড়ো হয়নি, বের হয়নি ঘর থেকে। বুধবার রাত আটটা থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেন তিনি। ওই রাতে ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের ১১ নম্বর ও ৫ নম্বর সড়কসহ আরো কয়েকটি এলাকায় ১০ কেজি চাল,এক কেজি ডাল, তেল, লবণ, মরিচ, পিয়াজ ও সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় আরো কিছু পণ্য তিনি তালিকা অনুসারে ঘরে ঘরে গিয়ে নিজ হাতে মালিকের হাতে পৌঁছে দিয়ে আসেন। কাউন্সিলর শরিফুর রহমান বলেন, করোনা ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় দলীয় কর্মী ও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকদের নামিয়ে এলাকার তিন শ্রেণির লোকের তালিকা ও ঠিকানা প্রস্তুত করি। এ তিন শ্রেণি হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, দরিদ্র মানুষ ও হত দরিদ্র মানুষ। ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের এ ধরনের লোকদের তালিকা এখন আমাদের হাতে। কাউকে বাড়িতে পাওয়া না গেলে পরের রাতে আবার গিয়ে তাদের ত্রাণ দিয়ে আসি। এছাড়াও ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার কিন্ত বর্তমানে অন্য এলাকায় বসবাস করছেন তাদের কেউ কেউ আমার অফিসে আসলে, আমরা তার ফোন নম্বর ও বাসার ঠিকানা রেখে দিই,পরে নিজে গিয়ে ত্রাণ দিয়ে আসি। তিনি বলেন, আমার কাছে এটাই ভালো পথ মনে হয়েছে, কারণ না হলে ত্রান দিতে এসে বহুলোক এক জায়গায় জড়ো হলো, বিপদ বাড়তে পারে। শরিফ বলেন, আমরা চিন্তা করছি একটি ক্যাম্প খুলবো, যেখানে একটি ফোন সার্বক্ষণিক কাজ করবে, কারো সাধারণ কিছু ওষুধ যেমন স্যালাইন বা গ্যাসে সমস্যা জনিত ওষুধের প্রয়োজনে তারা ফোন করলে আমরা তাদের ঠিকানায় এগুলো পৌঁছে দেবো। এছাড়া কারো যদি করোনা উপসর্গ দেখা দেয় ফোন করে জানালে আমরা তাকে হাসপতালে নেয়ার ব্যবস্থা বা কতৃপক্ষের কাছে জানিয়ে দেবো।
Discussion about this post