এর ফলে, এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে এ পর্যন্ত প্রাণহানি হলো ১ হাজার ৯৬৮ জনের। আর, মোট শনাক্ত হয়েছেন এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩৯১ জন।
দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার ১১৮তম দিনে আজ শুক্রবার (৩ জুলাই), রাজধানীর মহাখালীস্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ সকল তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এসময় তিনি জানান, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪,৭৮১টি। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪,৬৫০টি। প্রাপ্ত ৬৩টি ল্যাবের ফলাফলে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১১৪ জন। আর, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১,৬০৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৬৮ হাজার ৪৮ জন।
নাসিমা সুলতানা আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হওয়া ৪২ জনের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। আর, এ সময়ে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৬ শতাংশ।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় গত ৮ই মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিলো। কিন্তু তারপর থেকে বেড়েই চলেছে রোগীর সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা সাধারণ ছুটি তুলে নিয়েছে সরকার। সারা দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। শপিং মল, বাজার, দোকানপাট খোলা রাখার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। তবে, কিছু জায়গায় রেড জোন চিহ্নিত করে চলছে এলাকাভিত্তিক লকডাউন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, সারা বিশ্বে এরইমধ্যে ১ কোটি ১০ লক্ষ ছাড়িয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আর, এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৪ হাজারের বেশি মানুষের। ইউরোপে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমলেও উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার কিছু অঞ্চলে ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল।
Discussion about this post