আবারও রণক্ষেত্র দিল্লি, আবারও সংঘর্ষ-প্রাণহানি। নিহতের তালিকায় রয়েছে পুলিশও। ভারতব্যাপী উত্তাপ ছড়ানো সেই পুরনো ইস্যুতে- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। আর এমন একটি দিনে ভারতের রাজধানীতে এ ঘটনা ঘটল, যেদিন ভারত সফরে এলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গেছে, সিএএ ইস্যুতে উত্তর-পূর্ব দিল্লির অনেক এলাকায় সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য ছাড়াও তিনজন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত ১০টি এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর- উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক স্থানে সিএএ ইস্যুতে গতকাল নতুন করে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে। এদিন সন্ধ্যায় আগ্রা থেকে দিল্লিতে যান সস্ত্রীক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যেই এমন সংঘর্ষ সার্বিক অর্থে বাড়িয়ে দিয়েছে উত্তেজনা। সকালে ট্রাম্পের দিল্লি সফরের কয়েক ঘণ্টা আগেও উত্তর-পূর্ব দিল্লির ভজনপুরা, মৌজপুর ও জাফরাবাদে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সিএএ সমর্থক ও প্রতিবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে মাঝখানে পড়ে পুলিশের এক হেড কনস্টেবলের মৃত্যু হয়। সন্ধ্যার পর দিল্লিতে মোহাম্মদ ফুরকান নামে উত্তর-পূর্ব দিল্লির এক বাসিন্দা নিহত হন। রাতে আরও দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনসূত্রে। এ ছাড়া স্থানে-স্থানে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।
সংঘর্ষ-বিক্ষুব্ধ এলাকাগুলোতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ ধারায় উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া দিল্লি পুলিশের সদর দপ্তরের বাইরেও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বায়জল বলেন, তিনি আইনশৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। তার কথায়, পরিস্থিতির দিকে নিবিড় নজর রাখা হচ্ছে। আমি সবাইকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানাচ্ছি।
রবিবারও সিএএ ইস্যুতে সংঘর্ষ হয় দিল্লির জাফরাবাদ ও উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের একটি বাহিনী। লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। তাতে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে।
Discussion about this post