আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০৪ বছর। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানী এ খবর নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা আল্লামা শফীকে শুক্রবার বিকালেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় এনে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, আল্লামা শফীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তার অক্সিজেন হার্টে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়ার পাশাপাশি ফুসফুসে পানি জমেছে। শ্বাসকষ্টও বেড়েছে। তাই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ছাত্র বিক্ষোভের মুখে মাদ্রাসার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
এর আগে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এদিকে শর্ত ভাঙায় হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত প্রায় শতবর্ষী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
Discussion about this post